রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট
রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক শক্তিশালী হয়ে ওঠা ইয়াবা চোরাচালান চক্রটি বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারাই মূলত ইয়াবার বিস্তার করেছে সারাদেশে। প্রতিদিন কোনো না কোনো একজন রোহিঙ্গা নাগরিক ইয়াবা ও অস্ত্রসহ প্রশাসনের কাছে ধরা পড়ছে।
এলাকাবাসী জানান, উখিয়া-টেকনাফের বিশাল স্থানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হওয়ায় বিস্তৃত এলাকায় সহজেই ধরা পড়ে না ইয়াবা কারবারিরা। তবে ছোট কারবারিরা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও অধরায় রয়ে গেছে রাঘববোয়ালরা। এ কারণে বন্ধ হচ্ছে না ইয়াবা ব্যবসা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে ওঠার পর ইয়াবা বিক্রি করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। অনেকে ক্যাম্পের পাশেই সরকারি জায়গা দখল করে নিজ খরচে আলিশান বাড়িও করেছেন। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতাও চোখে পড়ছে। অভিযানও সমানতালে চলছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ৩০টি শিবিরে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রির চিহ্নিত আখড়া আছে পাঁচশরও বেশি। শরণার্থী শিবিরের বাইরেও রোহিঙ্গারা ইয়াবা বহন করছে। দুই দেশের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এদের নিয়ন্ত্রণ করছে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ইয়াবা পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। আর সে কারণে এটা বন্ধ হচ্ছে না। তাদের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এটা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।
আবার তাদের মধ্যে মানবপাচারের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে একটি চক্র সামনে শীত মৌসুমকে টার্গেট করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক মানবপাচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, শীতের সময় সমুদ্র শান্ত থাকে। এই সুযোগ নিয়ে নৌকায় করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের চেষ্টা বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ বলেছে, রোহিঙ্গারা এখন দালালদের মূল টার্গেট বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও মনে করছেন।
কোন মন্তব্য নেই