শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
পাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি হচ্ছে- উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের তেলকুপি লম্বাপাড়া গ্রামের আয়নালের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে তেলকুপি সীমান্তে ঘাষ কাটতে যান জাহাঙ্গীর আলম। মাদকাসক্তের কারণে ওই সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তিনি।
এ সময় কাঁটা তারের কাছাকাছি গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে মারধরের পর হত্যা করে মরদেহ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ফেলে রেখে যান বিএসএফ সদস্যরা।
স্থানীয়রা আরও জানায়, গত ২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তেলকুপি মাঠ থেকে ১৭২ বোতল ফেনসিডিলসহ বিজিবির হাতে আটক হন জাহাঙ্গীর। ওই ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং- ৩৮, তারিখ ২০-০২-২০১০।
এছাড়া ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের বনবেলঘরিয়া এলাকায় থেকে অস্ত্র-গুলিসহ আটক হয় জাহাঙ্গীর। ওই ঘটনায় নাটোর সদর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং- ৪৭, তারিখ ২৬-১১-২০১৫।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোফাজ্জুল হোসেন জানান, তেলকুপি সীমান্ত থেকে জাহাঙ্গীরকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ। এখন তার মরদেহ বাড়িতেই আছে।
এ ঘটনায় ৫৯ বিজিবির রহনপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে জাহাঙ্গীর কীভাবে নিহত হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই